চান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জ) ছাতকে-রোপা আমনের বাম্পার ফলনে কৃষক-কৃষাণীর মূখে হাসির ঝিলিক লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গোলায় ধান তুলতে মাঠ জুড়ে চলছে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ। এনিয়ে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কৃষক-কিষাণীদের ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা গেছে। মাঠের পর মাঠ ছড়ানো পাকা ধানের সোনালী আভা ও মনমাতানো মৌ মৌ গন্ধে যেন দিগন্ত ছেঁয়ে গেছে। সৃষ্টির অপরূপ সুন্দর্য্যরে সবটুকুই যেন আমনের মাঠে বিছিয়ে রাখা হয়েছে। মাঠে হাওয়ার তালে তালে দোলছে কাঁচা সোনায় রাঙ্গানো আমন ধানের শীষ। কবি যথার্থই বলে গেছেন ‘আমন ধানের উপর ঢেউ খেলে যায় বাতাস কাহার দেশে’। এখানের পল্লী-প্রান্তর মাঠ-ঘাটে একই দৃশ্য আমন কাটাও মাড়াই। নবান্ন উৎসবকে সামনে রেখে এখানে গ্রামে-গ্রামে চলছে স্বপ্নের সোনালী ফসল ঘরে তোলার কাজ। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এ বছর কাঙ্খিত ফসল উৎপাদন হয়েছে বলে কৃষকরা দাবী করছেন। উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, চলতি মৌসুমে রোপা-আমন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে দ্বিগুনের চেয়ে বেশী উৎপাদন হয়েছে। দোলারবাজারের কৃষক আব্দুল মোমিন, নজরুল ইসলাম, কালারুকার নুর উদ্দিন, সালেহ আহমদ, আব্দুল করিম, নোয়ারাইয়ের শাহবাজ মিয়া, মনির উদ্দিন মেম্বারসহ কৃষকরা জানান, এ বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা বা খরায় ফসলের ক্ষতি না হওয়া, যথাযথ পরিচর্যাসহ সময়মত সার ব্যবহারে আশানুরূপ ফসল উৎপাদিত হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রশিক্ষনের মাধ্যমে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে লক্ষ্যমাত্রার অধিক অর্জিত হয়। অফিসের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে রোপা-আমন ৯হাজার ৫শ’ ২০হেক্টর জমির মধ্যে উপসী জাতের ৬হাজার ৪শ’ ৭০হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৩হাজার ৫০হেক্টর জমিতে রোপা-আমন চাষাবাদ করা হয়। উপজেলা কৃষি অফিসার কেএম বদরুল হক জানান, প্রশিক্ষিত কৃষকরা অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ফসলের উৎপাদনে আশাতীত ফলাফল অর্জিত হয়েছে।